শনিবার, ১১ মে ২০২৪ ০১:৫০ এএম
বাংলাদেশের অস্তিত্বের ভিত্তিমূলে কৃষি তথা শস্য উৎপাদন। এখনো কৃষিপ্রধান জীবিকা, যদিও জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষির ভূমিকা শীর্ষস্থানে নেই। ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছে কৃষি খাত; অথচ কৃষির ভ‚মিকা ও কৃষকের আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থান ক্রমাবনতিশীল। জিডিপিতে কৃষির অবদান ও কৃষকের আয়ের দিকে খেয়াল করলে তা অনুধাবন করা যায়। ১৯৪১-৫০ সালে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭০ শতাংশ, ১৯৬১-৭০ সালে ৫৫ শতাংশ, ১৯৮১-৯০ সালে ৩২ শতাংশ, ২০০১-১০ সালে ছিল ১৮ শতাংশ। ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা; ২০১৭-১৮ সালে নামে ১৪.২৩ শতাংশে। শুধু যে জিডিপিতে অবদান কমেছে তা নয়, কৃষকের
আয়েও ভাটার দশা চলছে। কৃষি এখন আর কাউকে আশ্বস্ত বা সমৃদ্ধ করছে না।
একটি জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৩ শতাংশের বেশি কৃষকের আয় পরিবারের চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। এ কারণে ৬৫ শতাংশের বেশি কৃষক সময়ে সময়ে অন্য পেশায় যুক্ত হতে চায়, হয়ও। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে অ্যাকশনএইড ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের এই জরিপ-প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
তাতে বলা হয়েছে, ৬৫.৪৮ শতাংশ কৃষক কৃষিকাজ করলেও বিভিন্ন সময়ে অন্য পেশায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারণ কৃষি থেকে যে আয় হয় তা পারিবারিক চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। ৮৯৯ জন কৃষকের ওপর জরিপটি চালানো হয়েছে। তাদের ৮৩.১৫ শতাংশই এ কথা বলেছে। ১৯৩ জন কৃষকের মাসিক আয় মাত্র এক হাজার টাকা, ১০৫ জনের আয় এক হাজার এক টাকা থেকে চার হাজার টাকা, ১৫৫ জনের চার হাজার এক থেকে সাত হাজার টাকা, ১৫৪ জনের সাত হাজার এক থেকে ১০ হাজার টাকা, ৮০ জনের ১০ হাজার এক থেকে ২০ হাজার টাকা, ২১ জনের ২০ হাজার এক থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং ২২ জনের মাসিক আয় ৪০ হাজার টাকার বেশি।
জরিপকৃতদের ৬০৭ জনেরই মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার নিচে। আত্মপরিচয়-সংকট, মর্যাদাহীনতা, শুধু বাজার ও একক শস্য উৎপাদনের নিরিখে বিবেচনা করা, অলাভজনকতা, কৃষিজমির নির্বিচার দখল ও অকৃষি খাতে ব্যবহার, জমির মালিকানা-জটিলতা, পারিবারিক কৃষির জন্য সহায়ক নীতি-কর্মসূচির অভাব, রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা ও বাজেটের অভাব, কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নানা ধাপে নির্ভরযোগ্য আন্ত সম্পর্ক না থাকা প্রভৃতি কারণে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
সরকার কৃষি খাতকে খাদ্য উৎপাদনের প্রধান খাত বলছে; অথচ এ খাতে নিয়োজিতদের প্রতি তার নজর খুবই কম। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখার স্বার্থেই কৃষকের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং কৃষি খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে। কৃষিজমি সুরক্ষা ও কৃষকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, কৃষিকাজে যুবসমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য শস্যবীমা এবং সার্বিকভাবে পেনশন স্কিম, বীজবীমা ও বিভিন্ন প্রকারের ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশে শ্রমিক হিসেবে সবচেয়ে মজলুম গোষ্ঠী হল সাংবাদিকরা। তাদের কেবল বেতন সামান্য তাই নয় সাংবাদ... বিস্তারিত
আমরা এখন ২০২২ সালের সময়ের জীবন যাপন করছি। এমন সময়ে যদি শোনেন ভার্জিনিটি একটি পণ্য আপনার সামর্থ্য থ... বিস্তারিত
ইতিহাসে ভালোবাসার নানা গল্প। গল্প নিয়ে মহাকাণ্ড। কেউ বলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনে রোমান দেব-দেবীর রান... বিস্তারিত
ডিসকভারি চ্যানেলে বাঘ যখন তার হিংস্র থাবায় শিকারীকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে তাকে ভক্ষণ করে তখন আমরা শ... বিস্তারিত
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। মওলানা আবদুল হাম... বিস্তারিত
যৌবনের পুরো সময়টা কাটিয়েছিলেন প্রবাসে। সুখ নামক সোনার হরিণ ধরা হয়নি ওমানের তপ্ত রোধে ১৮ বছরের বেশ... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত